Motia chowdhury wiki

মতিয়া চৌধুরী

মতিয়া চৌধুরী (৩০ জুন ১৯৪২ - ১৬ অক্টোবর ২০২৪) ছিলেন আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নারী রাজনীতিবিদ। তিনি শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের একাদশ ও দ্বাদশ সংসদের উপ নেতা ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।[১]

জন্ম ও পারিবারিক জীবন

[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

তিনি ইডেন কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে "অগ্নিকন্যা" নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।

১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন।[২]

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[৩] বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।[৪]

পরে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে পুনরায় তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৫][৬]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

মতিয়া চৌধুরী ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৮][৯] তাকে দাফনের জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্লট চেয়ে আবেদন করা হলেও প্রধান উপদেষ্টা তা অনুমোদন না করায় তাকে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরের উপরে সমাহিত করা হয়।[১০] একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর দাফনের আগে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মতিয়া চৌধুরীকে তা দেওয়া ছাড়াই দাফন করা হয়।[১০][১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

Matthieu blazy biography template